নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলাধীন ফতুল্লার বিসিক শিল্প নগরীতে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা ফকির এপারেলসের পর এবার উৎপাদন মজুরী বৃদ্ধির দাবীতে এন আর গার্মেন্ট শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে ফের রণক্ষেত্রে পরিনত হয়েছিল কাশীপুর ইউনিয়নের ভোলাইল সড়ক।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের হামলা, ভাঙচুর ও বিক্ষোভের কারনে সকাল ৯ টা থেকে বন্ধ থাকে ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ মহাসড়ক।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ চালালে উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এসময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
যার মধ্যে একজন নারী শ্রমিক বুলি (৪৮) কে বাসায় নেয়ার পথে মারা যান।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৯ টা থেকে শুরু হয় এই শ্রমিক অসন্তোষ।
জানাগেছে, মজুরী বৃদ্ধির দাবীতে ফকির অ্যাপারেলসের মতোই মোখলেচুর রহমানের মালিকানাধীন এনআর গার্মেন্টস শ্রমিকেরা অত্যাধুনিক মেশিনের উৎপাদন মজুরী বৃদ্ধির দাবী জানিয়ে আসছিল। তবে মালিকপক্ষ এতে অস্বীকার জানালে গত ৬ ডিসেম্বর সকালে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করে। কিন্তু খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে মজুরী বৃদ্ধির ব্যাপারে মালিকপক্ষের সাথে আলোচনার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা আর কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে কর্মস্থলে ফিরে যান।
কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় আসার পরই একটি পক্ষের উস্কানীতে সড়কে নেমে বিক্ষোভসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান ও গাড়ী ভাঙচুর চালায় শ্রমিকরা। সড়কে টায়ার জ্বালিয়েলিয়ে দেয়া হয়।
এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজালাল জানান, এন আর শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ প্রায় ২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
কিন্তু ঐসময়ই শ্রমিকরা পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেলের গ্যাসে এক বয়স্ক নারী শ্রমিকের মৃত্যুর দাবী করলেও তখন পুলিশ তা অস্বীকার করেন। তবে দুপুরে নারী শ্রমিকের মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত হয়ে পুলিশ দাবী করেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ভয়ে স্ট্রোক করে নারী শ্রমিকটি মারা গেছেন।