নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশ ও পোশাক কারখানার এমডিসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। রূপগঞ্জের বরপা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে।
এ সময় শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এতে রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে। পরে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল ছুড়ে পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত অন্তিম নিটিং অ্যান্ড ডাইং কারখানার শ্রমিকদের নভেম্বর মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বকেয়া বেতন বৃহস্পতিবার পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বকেয়া বেতন পরিশোধ না করায় শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে শ্রমিকরা কারখানা থেকে মিছিল নিয়ে বের হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
খবর পেয়ে জেলা ও শিল্প পুলিশ গিয়ে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ তুলে নিতে বললে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। এ সময় পোশাক কারখানার এমডি আলী আকবর, শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব উন নবী ও শ্রমিকসহ ২৫ জন আহত হয়। পুলিশের লাঠিচার্জে কয়েকজন পথচারী ও দোকানদারও আহত হয়।
এ ব্যাপারে অন্তিম নিটিং অ্যান্ড ডাইং কারখানার এমডি আলী আকবর নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ কে জানান, ব্যাংকিং জটিলতার কারণে বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি শ্রমিকদের বুঝিয়ে বলার পরও তারা সড়ক অবরোধ করে এবং কারখানায় ভাঙচুর করে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ-৪ শিল্পজোনের পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, অন্তিম নিট অ্যান্ড ডাইং কারখানাটির মালিকদের মধ্যে অংশীদারিত্বের টাকাপয়সা নিয়ে বিরোধের কারণে এটি সম্প্রতি রুগ্ণ শিল্পে পরিণত হয়েছে। এ কারণে নির্ধারিত সময়ে বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারছে না। আর বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতেই শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।