নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাজপথ কাঁপানো শোডাউন করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে স্বাধীনতা দিবসের র্যালী করে নারায়ণগঞ্জের রাজপথ প্রদক্ষিণ করেছেন তিনি। এ সময় বিএনপি চেয়ারপার্সণ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে মূহুর্মূহু শ্লোগানে মূখর হয়ে উঠে নারায়ণগঞ্জের রাজপথ। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে এই র্যালী করে নারায়ণগঞ্জের রাজপথে সমুদ্রের গর্জণ তোলেন এই কারা নির্যাতিত নেতা।
বাঙ্গালী জাতির মুক্তি অর্জণের দিন ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের উদ্যোগে সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীরা নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে জড়ো হতে থাকে। এ সময় নেতাকর্মীদের হাতে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে লেখা বিভিন্ন প্লেকার্ড শোভা পাচ্ছিলো। সকাল সাড়ে দশটায় কয়েক হাজার নেতাকর্মীর বহর নিয়ে রাজপথে নামেন এড. সাখাওয়াত এবং শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবী করেন। র্যালী শেষে চাষাঢ়া বিজয় স্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি টানেন এড. সাখাওয়াত।
এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এড. সাখাওয়াত বলেন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত বীর শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আজকের দিনে শপথ নিতে হবে। স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিলো সুষম গনতন্ত্র কিন্তু অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় হলো বর্তমান সরকারের দু:শাসনে সেই গনতন্ত্র আজ বিপন্ন। আইনের শাসনের পরিবর্তে চলছে স্বৈরতন্ত্র,এক ব্যাক্তির ইচ্ছায় দেশ পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের স্বৈরতান্ত্রীক আচরনের কারনে রাষ্টীয় প্রতিষ্ঠানসমুহ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌচেছে অথচ যা একটি সআধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তাই দেশের গনতান্ত্রীক চরিত্র ফিরিয়ে আনতে হলে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের বিকল্প নেই।
তিনি আরো বলেন, আসুন আমরা স্বাধীনতা দিবসের এই দিনে সকলে শপথ গ্রহন করি দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য,আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য,বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে রাপথে গর্জে উঠি। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেশের মানুষের মৌলিক অধকিারসমুহ ফিরিয়ে আনি। এ লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং সকল প্রকার বিরোধ ভুলে যেতে হবে।
এই শোডাউনে আরো উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, মহানগর বিএনপি নেতা মনির হোসেন খান, অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমএইচ মামুন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দীন শিশির, জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দীন মোল্লা, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি স্বপন চৌধুরী, পারভেজ মল্লিক, শহিদুল ইসলাম রিপন, শাহিন আহমেদ, জেলা যুবদল নেতা নেতা রোমান হোসেন, আমিনুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, মহানগর মৎস্যজীবী দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রতন, কাজী খোকন, সজীব খন্দকার,পাপ্পু আহমেদ, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম বাবু, লিংকন খান, লিংরাজ খান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, ছাত্রদল নেতা মোজ্জামেল হোসেন, আল আমিন, আবদুর রশিদ, মোক্তার হোসেন সহ মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী।