ফরমায়েশী রায় আমরা মানি না – এড. সাখাওয়াত
নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি
এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ফরমায়েশীর মাধ্যমে যে রায় দেওয়া হয়েছে্ আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আজকে বিরোধী দলকে দমন করতে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তারা তাদের সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে সরকার বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে এই সাজার ব্যবস্থা করেছে।
বৃহস্পতিবার ( ১১ অক্টোবর ) দুপুরে আদালত পাড়ায়
জেলা আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের উদ্যোগে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের প্রতিবাদে ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন ।
তিনি বলেন, আমি এই মামলার সকল কাগজ পত্র দেখেছি। কোন স্বাক্ষী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য দেয় নাই। এমনকি অন্যা্ন্য নেতার বিরুদ্ধে এমন কোন বক্তব্য দেয় নাই। আদালতের উপর বন্দুক রেখে বিরোধী দল বিএনপিকে দমন করতে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তিনি আরো বলেন, আজকে তারা বুঝতে পেরেছে বাংলার মানুষ এই সরকারকে আর চায় না। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় কোন মানুষই এই সরকারকে ভোট দিবে না। এই সরকার আমাদের বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এবং তাদের আটক করে জেল পর্যন্ত খাটিয়েছে।নেতাকর্মীদের জেলে রেখে সরকার বিগত ২০১৪ সালের মত চায়। তাই আমরা এই সভা থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছি এবং সেই নেতাকমীদের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা গায়েবী মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবিরের সঞ্চালনায় উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা এডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, এডভোকেট শিমা সিদ্দিকী, এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, এডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন, এডভোকেট আঞ্জুম আহমেদ রিফাত, এডভোকেট ফজলুর রহমান ফাহিম প্রমুখ ।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রাক্তন উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় এসেছে আদালতে। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন বুধবার আলোচিত ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় এই রায় ঘোষণা করেন।