নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বর্তমান অবৈধ সরকার হচ্ছে ভারতের তাবেদার। ভারতের পুতুল সরকার এদেশ চালাচ্ছে তা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাই এই পুতুল সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায়না জনগন। খুব শীঘ্রই জনগনের দুর্বার প্রতিরোধের মুখে পালাতে বাধ্য হবে এই নিশিরাতের অবৈধ সরকার।
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বন্দর উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়ার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার (২০ আগষ্ট) বাদ জোহর বন্দর থানাধীন মুসাপুর ইউনিয়নের মদিনাতুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এ আয়োজন করা হয়।
এডভোকেট সাখাওয়াত বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করতে তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপি থেকে যে কর্মসূচি দেয়া হয়েছে তা পালন করতে হবে। জনগনকে সাথে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে আন্দোলন সংংগ্রাম করে এ্ই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষের ভোটাধীকার ফিরিয়ে আনতে হবে। তাই সকলকে পুরানো সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে।
বন্দর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শাহিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি মনির হোসেন খান, সরকার হুমায়ুন কবীর, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইসতিয়ার আজিজ উলফাত, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলমগীর হোসেন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সভাপতি সহিদুল্লাহ তালুকদার, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান খোকা, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ্এডভোকেট বিল্লাল হোসেন, মুসাপুর ্ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি গুলজার হোসেন, জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিক, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মুসা, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন, যুবদল নেতা সালাউদ্দিন মোল্লা, জাহিদ খন্দকার, মহসিন, জসিমউদ্দিন, আ: রহিম, সালাউদ্দিন রাজিবসহ বন্দর উপজেলা যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থ্যতা এবং দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।