নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ : বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মাহাবুব মিয়ার কর্মকান্ডে অতিষ্ট এলাকার সাধারন মানুষ। শুধু হাজীপুর জামে মসজিদ ও পঞ্চায়েত কমিটিতে আধিপত্য বিস্তারই নয়, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সরকারী বরাদ্দের টাকা আত্মসাত, জন্ম ও ওয়ারিশ সনদ দেয়ার নামে হাজার টাকা আদায়, এলাকায় চোরাই গ্যাস লাইন দেয়া, বিচারের নামে বিচার প্রার্থী ও বিবাদীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ বহু অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার অপকর্মে অতিষ্ট এলাকাবাসী তাকে কলাগাছিয়া ইউপি সদস্য পদ থেকে অপসারনের দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে সাধারন মানুসের মুখে শোনাগেছে তার অপকর্মের কাহিনী।
এলাকাবাসী জানান, মাহাবুব মেম্বার নির্বাচনের আগে এলাকার ভোটারদের হাতে পায়ে দরে অনুনয় বিনয় করতো ভোটের জন্য। আর নির্বাচিত হওয়ার পর বেপোরোয়া হয়ে উঠে। এলাকার মুরব্বিদের সালাম দেয়াতো দুরের কথা এমন ভাব যেন কাউকে চিনেই না। নির্বাচনের কয়েকদিন যেতে না যেতেই এলাকায় ৮/১০ চোরাই গ্যাসের সংযোগ দিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ হতে হাজীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ব্রীজ পর্যন্ত ড্রেন নির্মান কাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া ৭৫ হাজার টাকা কাজ না করেই আত্মসাত করে।এ ঘটনায় চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান তাকে অপমান করেন এবং ড্রেন নির্মানের জন্য পুনরায় আরও ৭০ হাজার টাকা মাহবুবকে না দিয়ে দীন ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেন। হাজীপুর বড় জামে মসজিদের সামনে হতে অবৈধ গ্যাস লাইন টেনে ৮/১০টি বাড়িতে চোরাই গ্যাস সংযোগ দিয়ে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এলাকার ইয়াসিন শাহর বোনের একটি গরু নিয়ে সৃষ্ট বিবাদে বিচারের নামে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।জন্ম নিবন্ধন ও ওয়ারিশ সনদ নিতে হলে ২/ ৩ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে কাজ হয় না।
এলাকার কাইয়ুম জানান, তার ছেলের জন্ম সনদ করতে তার কাছে ৬ হাজার টাকা দাবি করেছে মাহাবুব মেম্বার। এ ছাড়াও আমানউল্লাহ ও নুর মোহাম্মদের মধ্যে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ মিমাংসা করার নামে বাবুল ও মাহাবুবগং ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। টাকার বিনিময়ে এলাকার সুন্দর ও শান্তিপুর্নভাবে চলতে থাকা মসজিদ ও পন্চায়েত কমিটি বিলুপ্ত করে প্রভাব খাটিয়ে অসাধু বিতর্কিত লোকদের নিয়ে নতুন কমিটি ঘোষনা করেন বলে সাধারন মুসুল্লীদের অভিযোগ। এলাকাবাসী এ প্রতিবেদকের মাধ্যমে পূর্বের কমিটি বহাল নতুবা নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি করতে চায়।
এ প্রসঙ্গে কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।