en
বৃহস্পতিবার , ১৫ জুন ২০২৩ | ২৪শে পৌষ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আর্ন্তজাতিক
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. খেলাধুলা
  8. ছবিঘর
  9. জন দুর্ভোগ
  10. জাতীয়
  11. টপ লিড
  12. বিনোদন
  13. মহানগর
  14. রাজনীতি
  15. লিড

খোকনকে বিজয়ী করতে রাজিবের বিরুদ্ধে দিপু ভূঁইয়ার অপপ্রচার!

প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ
জুন ১৫, ২০২৩ ৪:০০ পূর্বাহ্ণ
PicsArt 06 15 09.54.02

নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন ১৭ জুন। দীর্ঘ ১৪ বছর পর নেতৃত্ব নির্বাচনী এ ভোটের ফলাফল শেষ পর্যন্ত লন্ডন থেকে ঘোষণা করা হবে কিনা, এ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে নেতাকর্মীদের মনে। কারন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিবকে ঠেকাতে মাঠে নেমেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া। তিনি বিনা ভোটে তার অনুসারী সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকনকে বিজয়ী করতে রাজিবের বিরুদ্ধে নানান অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলীয় বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা ।

দলীয় নেতাকর্মীরা জানায়, খোকনকে জেতাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দিপু ভূঁইয়া। বেশ কয়েকটি থানা উপজেলায় কাউন্সিলরদের ডেকে গোপন বৈঠক করে আর্থিক লেনদেন করে দিপু ভূইয়া খোকনের পক্ষে ভোট চায়। সেই বৈঠকে রাজিবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন দিপু ভূঁইয়ার অনুসারীরা। এবং কাউন্সিলর ভোটারদের কাছ থেকে তিনি গণস্বাক্ষরও নিয়েছে বলে জানা গেছে।

কাউন্সিলের দিন খোকনকে একক প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করার জন্য এসকল করছেন দিপু ভূঁইয়া। শুরুতে জেলা বিএনপি’র কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা গেল শেষ পর্যন্ত দিপু ভূঁইয়া খোকনের বিপরীতে কেউ প্রার্থী হতে সাহস দেখায়নি। একমাত্র রাজিবই সাহস দেখিয়ে জেলা বিএনপির কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন। এবং তিনি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্বাচনের দাবি করে আসছেন।

শুধু তাই নয় সেক্রেটারি পদে কাউন্সিলের আগে যাদের নাম শোনা গেছিল তাদের সবাইকে দিপু ভূঁইয়া অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে ফেলেন। শুধু তাই না কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডকেও ম্যানেজ করে ফেলেছে বলে জানা গেছে। শুধুমাত্র রাজিবকে ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়েছে দিপু ভূঁইয়া। তাই‌ তো এখন রাজিবকে ঠেকাতে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও নানা অপকৌশল অবলম্বন করছেন তিনি। তবে রাজিব নাছোড়বান্দা যে কোন কিছুর বিনিময় তিনি নির্বাচন করবেন। তাই তো রাজিবকে ঠেকাতে চলছে নানা অপচেষ্টা।

এ বিষয়ে সেক্রেটারি পদপ্রার্থী মাশুকুল ইসলাম রাজিব বলেন, বিএনপি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গড়াদল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামী দিনের রাষ্ট্র নায়ক আমাদের নেতা তারেক রহমান নেতৃত্বে দলের জন্য রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করছি। দলের কাউন্সিল প্রার্থী হয়েছি। ইনশাল্লাহ ভোট হবে আমি ভোটের মাঠে আছি। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে কোন লাভ নেই ভোটের মাঠ থেকে আমি সরে যাব না।

তবে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, এর কোনো সুযোগ নেই। দলীয় কোন্দল ভেঙে স্বচ্ছতা বজায় রেখে সৎ ও ত্যাগী নেতা নির্বাচিত করতে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

দলের নেতাদের দাবি, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই সরাসরি ভোটের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠলে দলের ভেতর যেমন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তৈরি হবে, তেমনি আগামী দিনের যেকোনো আন্দোলনে সফল হওয়া সহজ হবে।

আর সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনকে সাধুবাদ জানিয়েছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। বলছেন, ত্যাগী নেতৃত্ব উঠে আসার পাশাপাশি তৃণমূলের সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্যতা পাবে। কোন অপশক্তি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র কাউন্সিল বন্ধ করতে পারবে না এবং ভোটের মাধ্যমে আমরা আমাদের নেতা নির্বাচিত করবো।

জানাগেছে, শনিবার সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকায় গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজ প্রাঙ্গনে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে সকাল ১০টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। এতে ভোট দেবেন ১ হাজার ১০ জন কাউন্সিলর। পুরো প্রক্রিয়া অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ৪ সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

তবে জেলা বিএনপির কাউন্সিলে সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন। সাধারণ সম্পাদক পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভবনা রয়েছে।

দীর্ঘ ১৪ বছর পর জেলা বিএনপির সম্মেলন, ব্যালটে ভোটের মাধ্যমে আসছে নতুন কমিটি। সম্মেলনে জেলা বিএনপির নেতৃত্বে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, এ নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা। তবে শনিবার কাউন্সিলে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

জেলা বিএনপির কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাউন্সিলে স্বশরীরে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ দেখা গিয়েছে। সম্মেলনস্থল ছেয়ে গেছে ব্যানার-ফেস্টুনে। তৈরি করা হচ্ছে বিশাল মঞ্চ। ঝিমিয়ে পড়া বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা অনেকটা চাঙ্গা হয়েছে।

কাউন্সিলকে সফল করতে গঠন করা হয়েছে ৬টি উপ- কমিটি। কাউন্সিলে ১০১০ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন ও বিভিন্ন ইউনিট ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১৫০০ ডেলিগেট উপস্থিত থাকবেন। কাউন্সিলে আমন্ত্রণ জানানো হবে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার অন্তত ১শ জন অতিথিকে।

এর আগে ২০০৩ সালে শহরের চাষাড়ায় বিএনপির ক্ষমতাকালীন জিয়া হলে দলের কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত অধ্যাপক রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক হন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা এড. তৈমূর আলম খন্দকার ও সিনিয়র সহ-সভাপতি হন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও তৎকালীন সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন।

সর্বশেষ - লিড

আপনার জন্য নির্বাচিত