নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
আগামী ৪ জুলাই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব সফল ভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
মঙ্গলবার ( ২৫ জুন ) বিকেলে শহরের টানবাজারস্থ দরিদ্র ভান্ডার কালী মন্দিরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
সোনারগাঁও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লোকনাথ দত্তের সভাপতিত্বে ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা আরোও উপস্থিত ছিলেন মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি অরুন কুমার দাশ, যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক উত্তম সাহা, কোষাধ্যক্ষ সুশীল দাস, জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কমলেশ সাহা, দপ্তর সম্পাদক হিমাদ্রি সাহা হিমু, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাশ, মহানগরের সভাপতি লিটন চন্দ্র পাল, সাধারণ সম্পাদক নিমাই দে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত মল্লিক, সহ সম্পাদক অরুণ কুমার দাশ, বন্দরের সভাপতি শংকর দাশ, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন দাস, সিদ্ধিরগঞ্জের সভাপতি শিশির ঘোষ অমর, সাধারণ সম্পাদক খোকন বর্মন, সোনারগাঁওয়ের সাধারণ সম্পাদক এড. প্রদীপ ভৌমিক, মহানগর পূজা কমিটি প্রচার সম্পাদক তপন গোপ সাধু, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ আচার্য, জেলা হিন্দু মহাজোটের সভাপতি এড. রঞ্জিত চন্দ্র দে, জেলা ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি আনন্দ সেরাওগী প্রমুখ ।
গত বছরের রথযাত্রা উৎসবে ঘটে যাওয়া অপ্রিতিকর ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে এ বিষয়ে প্রস্তুতি সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং সফল ও সুন্দর ভাবে এবারের রথযাত্রা উৎসব আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয় ।
প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আজ হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে তা কারোও কাম্য নয় । যারা পদ পদবীধারী নেতা আছেন তারা শুধু নেতা হওয়ার জন্য কমিটিতে থাকবেন কিন্তু কোন প্রয়োজনীয় মুহূর্তে তাঁদেরকে পাওয়া যাবে না, তা হতে পারে না । আমরা কি শুধু গরুর পালের মতো খেটেই যাবো আর তারা গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে সবকিছু এড়িয়ে চলবেন, এটা কেমন অবিচার । তারা আরও বলেন, পাগলা মন্দিরে সৃষ্ট অনিয়ম রোধ করার জন্য আমরা নতুন কমিটি করে দিলাম, অথচ আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা দেওয়া হলো , সেই ক্ষেত্রে জেলা পূজা পরিষদের সভাপতি ও সেক্রেটারি কোন উদ্যোগই গ্ৰহণ করলেন না , তা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না । আজকের এই প্রস্তুতি সভায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রধান সমন্বয়ক এড. খোকন সাহার স্বাক্ষরিত চিঠি সকলের কাছে পৌঁছানো হয়েছিলো । জেলা সভাপতি ও সেক্রেটারির কাছেও এই চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছিলো, কিন্তু তারা আসার প্রয়োজন মনে করেননি , যা সমন্বয়কে অসম্মান করার শামিল । ধর্ম নিয়ে যদি আমরা হিন্দুরা নিজেরাই বিভাজন সৃষ্টি করি । তাহলে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে । তাই হিন্দু ধর্ম রক্ষা করার জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে ।