নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলায় দায়ের করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ।
বৃহস্পতিবার ( ১৪ নভেম্বর ) গনমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এড. সাখাওয়াত হোসেন খান এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ দ্বিতীয় সহকারি জজ আদালতের বিচারক শিউলি রানী সরকারের আদালতে গঠনতন্ত্র না মেনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার অভিযোগ তুলে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫ নেতাকে আসামী করে মামলা করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১০নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি গোলজার হোসেন খান ও একই ওয়ার্ডের সাবেক নিরক্ষরতা দূরীকরণ সম্পাদক নুরে আলম বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবাদিরা হচ্ছেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, জেলা বিএনপি’র সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, ও বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বাদি তার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমন্বয়ে গঠিত ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি বিএনপি’র মহাসটিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনুমোদন দেন। যা সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে দেওয়া হয়েছে। মামলায় বলা হয়, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির আলাদা আলাদা ভাবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালিত হয়। নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির আওতায় রয়েছে নারায়ণগঞ্জ সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ, ও বন্দরের একাংশ। অর্থাৎ নারায়ণগঞ্জ থানার আটটি ওয়ার্ড, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দশটি ও বন্দর থানার ৯ টি মোট ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির গঠিত।
বাদির অভিযোগ, সদ্য অনুমোদিত কমিটিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত কোনো নেতাকর্মীকে ওই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়নি। মহানগরের ওয়ার্ডের নেতাদের বাদ দিয়ে জেলা বিএনপি’র কমিটির আওতাধীন থাকা ফতুল্লা থানা গোগনগর, আলীরটেক ইউনিয়ন এবং বন্দর থানার অন্তর্গত ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদের নেতাকর্মীকে সিটি কর্পোরেশনের মহানগর কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা গঠনতন্ত্র মোতাবেক বেআইনি ও গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করা হয়েছে। যেহেতু বাদীপক্ষ মহানগরের ১ থেকে ১০ নং ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীদের পদবঞ্চিত করে সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, জেলা বিএনপি’র সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ এ চার জন মিলে কমিটি তৈরি করে বেআইনিভাবে কথিত কমিটি তৈরি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এর অনুমোদন নিয়েছেন। তাই এই অবৈধ কমিটির কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে এবং আগামী ১৮ ই নভেম্বর মহানগর কমিটির আহ্বান করা সভার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আবেদন উল্লেখ করা হয়।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নোটিশ প্রাপ্তির ৭ কার্য দিবসের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আদালত কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। একই সাথে বাদি কথিত মহানগর বিএনপির কার্যক্রম স্থগিত চেয়েছেন আদালত আমাদের আবেদনের সন্তুষ্ট হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।