নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ইফতার করার দাওয়াত দিয়ে ফোনে ডেকে নিয়ে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৯ মে ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার বালেঙ্গা এলাকার আমজাদ হোসেনের পুত্র আলমাসকে ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে দাবী করে ৩ জনকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী তাসলিমা খানম। পুলিশ নাজমুল হক রাসেল নামে এক আসামীকে গ্রেফতার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে গত ২৩ মে নারায়ণগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফয়সাল আতিক বীন কাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলা নং ৬৪, তারিখ ২০-০৫-২০১৯।
মামলার অপর আসামীরা হলো আবু তাহের ও শাহীন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামী নাজমুল হক রাসেল নিহত আলমাসের পূর্ব পরিচিত এবং প্রায়ই তার বাসায় আসা যাওয়া করতো। গত ১৯ মে বিকেল আনুমানিক তিনটার দিকে নাজমুল হক রাসেল আলমাসের মুঠোফোনে কল করে ইফতারের দাওয়াত দিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। ইফতার শেষে আলমাসের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন তার স্বামীর মুঠোফোনে কল করলে সে জানায় কিছু সময় পরে বাড়িতে ফিরছে কিন্তু তার স্বামী যথা সময়ে বাড়ি ফিরে না আসায় পুনরায় স্বামীর নাম্বারে কল করলে অজ্ঞাতনামা একজন জানায় আলমাস মিটিংয়ে আছেন। সেই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছে স্বামীর সাথে কথা বলার অনুরোধ করলে ফোনটি বন্ধ করে দেয়া হয়। স্বামীর মোবাইল বন্ধ পেয়ে স্ত্রী তাসলিমা তার স্বামীর সাথে থাকা নাজমুল হক রাসেলের মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে রাসেল জানায় রাসেল, আলমাস, আবু তাহের এবং শাহীন একসাথে রয়েছেন। এ সময় তাসলিমা তার স্বামীর সাথে কথা বলতে চাইলে তারা বারবার ফোন কেটে দেয় এবং এক পর্যায়ে ফোন বন্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে ২০ মে রাত আনুমনিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে রূপগঞ্জ থানার পুলিশ ফোন করে তাসলিমাকে জানান তার স্বামী আলমাসকে মাতাল অবস্থায় রূপগঞ্জের ভোলানাথপুরস্থ ৩০০ ফিট এলাকায় নীলা মার্কেটের জহির হোটের সামনের রাস্তায় গুরুতর অসুস্থ্য পেয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিহত আলমাসের স্ত্রী তাসলিমা তার অভিযোগে উল্লেখ করেন তার স্বামীকে আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
এদিকে পুলিশী তদন্তে বেড়িয়ে এসছে, আসামী নাজমূল হক রাসেল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ী। সে তার সহযোগী অপর আসামীদের নিয়ে পরস্পর যোগসাজসে আলমাসকে পরিকল্পিতভাবে নেশা জাতীয় মদ পান করিয়ে ড্রাইভার মো: রুহুল আমিন ভূইয়া লিটনের প্রাইভেটকার ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে। ফলে ১৯ মে বিকেল ৩টা থেকে ২০ মে রাত ২টা ২০ মিনিট সময়ের মধ্যে আলমাসের মৃত্যু ঘটে।