নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে লাঞ্ছনার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সাংসদ সেলিম ওসমানকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। এ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি শেষে আদালত সেলিম ওসমানকে অব্যাহতি দিয়ে অন্য আসামি অপুর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন ।
মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। ঢাকা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম এমদাদুল হক তাকে অব্যাহতি দিয়ে আসামি অপুর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন।
সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ার কবির বাবুল। তিনি বলেন, আজ মামলাটির শুনানির দিন ধার্য ছিল। সেলিম ওসমান মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সেলিম ওসমানকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছেন এবং আসামি অপুর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন।
এ দিন সেলিম ওসমানর আদালতে হাজির ছিল। তার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার রেহান হোসেইন ও আইনজীবি আসমা আকতার শুনানি করেন।
এ মামলায় গত ২০১৭ সালের ২৩ মে ঢাকা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আরার আদালত শুনানি শেষে তাকে ২০ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করে আদালত চার্জ শুনানির জন্য তারিখ ধার্য্য করেন।
গত ২০১৭ সালের ১৪ মে সেলিম ওসমান আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তাকে বলেন, আপনি এমামলায় চলতি মাসের ৮ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত হাইকোর্টের জামিনে রয়েছেন। সে কারণে এ আবেদনটি আমরা জামিনের মেয়াদ শেষ হলে ২৩ তারিখে শুনব। আদালত তার জামিন শুনানির জন্য ২৩ মে দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত ২০১৬ সালের ১৩ মে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি প্রকাশ পেলে দেশজুড়ে তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমান সেদিন ওই শিক্ষককে কান ধরে উঠ-বস করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে তা দেখা যায়।
সরকারের মন্ত্রীরাও সে সময় সেলিম ওসমানের ভূমিকার জন্য সমালোচনায় মুখর হন। তবে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের এ সাংসদ কোনো ভুল করেননি দাবি করে ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেন।