নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
সোনারগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জয়া নিহতের ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ স্কুল শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে তারা। খবর পেয়ে সোনারগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জয়া মোগরাপাড়া সরকারি এইচজিজিএস স্মৃতি বিদ্যাতয়নে নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের রতনদী গ্রামের দুবাই প্রবাসী জয়নাল আবেদীনের মেয়ে।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফুলবাড়িয়া এলাকায় গত ২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামগামী তিশা পরিবহনের একটি বাস জয়াকে বহনকারী রিকশাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে জয়া ও রিকশা চালক গুরুতর আহত হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুর্ঘটনার চারদিন পর জয়ার মৃত্যু হয়।
স্কুলছাত্রী জয়ার মৃত্যুতে ওই স্কুলের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ফুলবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের অনুরোধে প্রায় এক ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক থেকে তাদের অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
জয়ার সহপাঠি লিমা আক্তার বলেন, আমরা সহপাঠির মৃত্যুর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি। আজ নিরাপদ সড়কের দাবিতে সবাই আন্দোলনে নেমেছি। সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি, আমাদের জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা হোক। লিমার আরেক সহপাঠি নাসরিন বলেন, আমাদের সহপাঠি জয়া’র মৃত্যু এটা কোন সড়ক দূর্ঘটনা নয়। এটা একটি হত্যাকাণ্ড। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
সোনারগাঁও থানার এস আই আবুল কালাম আজাদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জয়া নিহতের প্রতিবাদে ও বিচার দাবিতে তার সহপাঠিরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। আমরা তাদেরকে বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি। সাময়িক সময়ের জন্য মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হলেও বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
সোনারগাঁও থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জয়া নিহতের ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে পুলিশ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
