নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
তৈরী পোশাক শিল্প খাতে কর্মরত অসুস্থ শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা ও শ্রমিকদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। এদিন শ্রমিকদের সন্তানদের মধ্য থেকে ৭৭জনকে ২০হাজার টাকা করে মোট ১৫লাখ ৪০হাজার টাকা এবং অসুস্থ ৫৭জন শ্রমিককে ২৬ লাখ ৫ হাজার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার ( ১৪ নভেম্বর ) বিকেল ৪টায় ঢাকা কাওরান বাজার এলাকার অবস্থিত বিজিএমইএ ভবন এর অডিটরিয়ামে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিল আয়োজনে এ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীট গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সচিব আফরোজা খান।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, শ্রমিকদের জন্য বর্তমান সরকারের গৃহিত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। সেই সাথে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার সুযোগ দিতে সকলের প্রতি আহবান রাখেন। পাশাপাশি কতিপয় শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের কোন প্রকার উস্কানি দিয়ে আরএমজি সেক্টরকে উত্তপ্ত করা থেকে বিরত থাকার আহবান রাখেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সেলিম ওসমান বলেন, দেশের অন্যান্য খাতের শ্রমিকদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে কোন মানুষ বেকার না থাকে। বঙ্গবন্ধুর আহবানে আমরা সাড়ে ৭কোটি মানুষের মোটা ভাত আর মোটা কাপড়ের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করে ছিলাম। আর আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৭কোটির বাংলাদেশের মানুষের ভাত ও চালের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও চাল ও কাপড় রপ্তানি করে যাচ্ছি। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মত একজন সৎ ও দক্ষ একজন নেতা পেয়ে ছিলাম বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আল্লার কাছে শুকরিয়া জানাই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যেন আবারো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও উপস্থাপনা করেন কেন্দ্রীয় তহবিল এর মহাপরিচালক ডা: এ.এম.এম আনিসুল আউয়াল। শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ। আরো উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ এর প্রথম সহ সভাপতি মনসুর আহম্মেদ।
উল্লেখ্য আরএমজি সেক্টর থেকে মোট রপ্তানির ০ দশমিক ০৫ শতাংশ উৎস কর হিসেবে কেটে নেওয়া হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে কেটে নেওয়া উক্ত উৎস কর দিয়ে শ্রমিকদের সহায়তার লক্ষে কেন্দ্রীয় শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয় । উক্ত তহবিল থেকে এ অর্থ প্রদান করা হয়। গঠিত উক্ত তহবিল থেকে কর্মরত শ্রমিকের মৃত্যুতে পরিবারকে ৩ লাখ টাকা, জটিল রোগে আক্রান্ত শ্রমিকদের ১ লাখ টাকা, এবং শ্রমিকদের সন্তানেরা সরকারী মেডিক্যাল কলেজ অথবা প্রৌকশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলে ২ লাখ টাকা, শ্রমিক সন্তানদের মধ্য থেকে মেধাবীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে।