নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র সংঘষের্র ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা ও ঝুট সন্ত্রাসী গিয়াসউদ্দিন ওরফে কাইল্যা গেসু এবং তার ভাই যুবলীগ নেতা আজমত আলী বাহিনীর ২৩ জনের জামিন ।
বুধবার ( ৮ মে ) অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত মেডিকেল সার্টিফিকেট পর্যন্ত তা মঞ্জুর করেন ।
মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী নারায়ণগঞ্জ আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান জানান, এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন আসামিরা । জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত মেডিকেল সার্টিফিকেট পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন ।
জানাগেছে গত ২৩ মার্চ শনিবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় ওই সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আজিমের বাবা আব্দুল গফুর বাদী হয়ে গেসু ও আজমত বাহিনীর ২৫ জনের নাম উল্লেখ সহ অর্ধশত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। গেসু আজমত ছাড়াও মামলায় আসামী করা হয়েছে মনির হোসেন মুরাদ, রাজিব, সজিব, জুয়েল, খন্দকার শাওন, জসিম, আশ্রাফ, ফয়সাল, রিপন, নাঈম, দেলোয়ার, শাকিল, হৃদয়, শহিদ, ইমন, সোহেল, সানি, রাজু, তাহের আলী, সোলেয়মান, রহিম বাদশা, শামীম, ডালিমসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০জন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকার কাইল্যা গেসু আজমত গ্রুপের সাথে রামারবাগ এলাকার স্পীডবোট ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল গ্রুপের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সেই জের ধরে শুক্রবার রাতে ফতুল্লার রামারবাগ এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে আজিম (৩২) সে তার বাড়ির সামনে অবস্থান করাকালিন আজমত-গেসুর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় আজিমের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে এসে বাধা দিতে গেলে তাদের উপরও হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে গেসু-আজমত বাহিনীর লোকজনের হাতে থাকা ধারালো রাম দা দিয়ে বেশ কয়েকজনকে এলোপাথারী কুপিয়ে আহত করে। গেসু-আজমত বাহিনীর হামলার শিকার হয়ে মোস্তফা কামাল গ্রুপের লোকজন দৌঁড়ে দোকানের ভিতর প্রবেশ করলে তাদের হাতে থাকা লাঠিসেটা চাপাতি দিয়ে ওই সব দোকান ও বাড়ি ঘর ভাঙচুর চালায়। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সন্ত্রাসীরা চাউলের আড়ৎ, ক্যামিকেলের দোকান ভাঙচুর করে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। এছাড়া এলাকার সাধারন লোকজনের শতাধিক বাড়ি ও দোকান ঘর ভাঙচুর করা হয়। এদের মধ্যে গফুর মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে ব্যাপক তান্ডব চালানো হয়। এ বাড়িতে গার্মেন্ট শ্রমিকদের থাকার ৪টি টিনের ঘর কুপিয়ে ছিন্নভিন্ন করে লুটে নেয়া হয় আসবাবপত্রসহ টাকা পয়সা। আর সংঘর্ষে আহত হয় আনুমানিক ১৫জন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতাল এবং নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।